বিএনপি দল হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী বলেন, সংসদ নির্বাচনে কারা আসবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা পরিষ্কার হবে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি। ৭ জানুয়ারিকে ভোটের তারিখ ধরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। গত ১৫ নভেম্বর ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পর চারদিন ধরে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করে আওয়ামী লীগ। এরপর সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। নৌকার টিকিটে কারা ভোটে লড়াই করবেন গতকাল বিকেলে সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ২৯৮টি আসনের প্রার্থীর তালিকা দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। এই আসন দুটিতে বর্তমানে সংসদ সদস্য যথাক্রমে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির নেতা সেলিম ওসমান। ৩০০ আসনের মধ্যে দুটি আসনে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা না করার বিষয়টি কৌশলগত উল্লেখ করে সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জোট হলে সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারবিরোধীরা ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত করছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, সহিংসতা করছে বিরোধীরা।