বর্তমান সময়ে কিছু তথাকথিত সাংবাদিক রয়েছেন, যারা সাংবাদিকতারমূলনীতিকে উপেক্ষা করে সস্তা জনপ্রিয়তা ও ভিউ বৃদ্ধির আশায় ভিত্তিহীন ওনেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছেন। এমনই দুই নাম হলো পশ্চিমবঙ্গেররিপাবলিক বাংলা টিভির সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ ও বাংলাদেশের রিয়াসাদআজিম। এরা যেন একেকজন ‘মলম বিক্রেতা‘—যারা বাজারে দাঁড়িয়ে লোকঠকানোর মতো সংবাদ পরিবেশন করেন। তথ্যের গভীরে না গিয়ে, যাচাই নাকরেই শুধু নেতিবাচক বার্তা ছড়ানোই যেন তাদের মূল কাজ।
বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে তাকালে দেখা যায়, ভারতের ক্রিকেট এখন একটি বিশালবাণিজ্যিক বাজারে পরিণত হয়েছে। সেখানে মিডিয়া এক শক্তিশালী ভূমিকাপালন করছে, ক্রিকেটের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে গঠনমূলক আলোচনাচালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু সাংবাদিক, বিশেষ করে রিয়াসাদআজিম, সেই বিপরীত পথে হাঁটছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়েনিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে তিনি নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে জনগণের মনে বিভ্রান্তিসৃষ্টি করছেন।
এই ব্যক্তি যেন একেবারেই ভুলে গেছেন যে, একজন ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্টকেবল একজন কর্মকর্তা নন, তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি দেশেরপ্রতিনিধিত্ব করেন। ভারতের বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের বোর্ড প্রেসিডেন্টরাযেসব সুবিধা পান, তা বাংলাদেশ বোর্ড প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অথচরিয়াসাদ আজিম রিপোর্ট করেন প্রেসিডেন্ট কত টাকা খরচ করলেন, কোথায়থাকলেন—এটা কি সাংবাদিকতা না ব্যক্তিগত বিদ্বেষ?
সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, এই ধরনের সাংবাদিকতা বিসিবির ভাবমূর্তিকেতলানিতে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ বর্তমান বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ বিগত৭–৮ মাসে যে গঠনমূলক কাজগুলো করেছেন, তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসারযোগ্য। রাজশাহী ও বগুড়ার মত ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামগুলোতে আন্তর্জাতিক ম্যাচআয়োজনের উদ্যোগ, দেশের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের আন্তর্জাতিক পর্যায়েঅংশগ্রহণ, এবং দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা চতুর্থ বিভাগ ক্রিকেট পুনরায় চালু করা—এসব পদক্ষেপ আমাদের ক্রিকেটকে ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত গড়েদিচ্ছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা হলো, ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেটএখন নতুন সম্ভাবনার পথে হাঁটছে। অথচ যারা অতীতে বোর্ডে ছিলেন, তাদেরঅনেকেই দুর্নীতির অভিযোগে এখন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতেএককভাবে সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ফারুক আহমেদ দেশসেবা চালিয়েযাচ্ছেন। তাকে প্রাপ্য সম্মান ও সহযোগিতা না দিয়ে, বরং বিভ্রান্তিকর সংবাদপরিবেশন করে যে ক্ষতি করা হচ্ছে, তা শেষ পর্যন্ত আমাদের ক্রিকেটকেই ক্ষতিগ্রস্তকরছে।
এখন সময় এসেছে দেশের সৎ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার।রিয়াসাদ আজিমের মতো ভণ্ড সাংবাদিকদের মুখোশ খুলে সত্য ও গঠনমূলকতথ্য সামনে আনতে হবে। দেশের জনগণকেও সচেতন হতে হবে—নেতিবাচকতানয়, গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমেই গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব। আমরা যদিআমাদের ক্রিকেটকে বিশ্বমঞ্চে শক্ত অবস্থানে দেখতে চাই, তাহলে সত্যিকারেরনেতৃত্ব ও পজিটিভ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়াতে হবে।
