ঢাকা সকাল ১১:৩৫ । ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি বার্তা
  7. খেলাধুলা
  8. গনমাধ্যাম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. প্রবাসের খবর

শেখ হাসিনা কোথায় আসলে?

National Desk
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ ২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেখ হাসিনা কোথায় আসলে?

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান।

তারপর থেকেই একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে যে, শেখ হাসিনা আসলে কোথায় অবস্থান করছেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনের ‘গণভবনের’

দিকে যেতে থাকে। এই অবস্থায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর একটি বিমানে করে

দিল্লির নিকটস্থ গাজিয়াবাদ বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। এরপর ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার শেখ হাসিনার

ভারতে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে তিনি আসলে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন এ বিষয়ে

মানুষের কল্পনা-জল্পনা বন্ধ হয়নি।

নিহতের পরিবার ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ

ভারতের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে—এসব সূত্রের একেকজনের বিশ্বাসযোগ্যতার মাত্রা একেক রকম—শেখ হাসিনা

বর্তমানে ভারত সরকারের একটি সেফ হাউসে অবস্থান করছেন। এই বিষয়ে, সূত্রগুলোর মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই।

সেখানে তাঁর সঙ্গে অবস্থান করছেন তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক

একটি পদে দায়িত্ব পালন করছেন গত ফেব্রুয়ারি থেকে। আবার বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করেছে, শেখ হাসিনাকে

তাঁর সদলবলে দিল্লির অন্যতম ধনী পার্ক লোধি গার্ডেনে হাঁটতে দেখেছেন।

বিশ্বের যেসব দেশের সরকার শেখ হাসিনার সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছেন তার মধ্যে ভারতের নরেন্দ্র

মোদির সরকার শীর্ষে। আওয়ামী লীগ যখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় তখন এ বিষয়ে দিল্লি একটি এক ধরনের

‘নীরবতা’ বজায় রেখেছিল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দিল্লিতে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো

বেশির ভাগই ভাবা বন্ধ করে দিয়েছে যে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎকার পাবে।

এর কয়েকটি কারণও আছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার

দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে এবং দেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় শত শত হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ

হাসিনাকে দায়ী করে। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশের একটি বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে যা,২০১৩ হাসিনা নিজেই

স্বাক্ষর করেছিলেন। এখন তত্ত্বগতভাবে এই চুক্তিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, যদি নতুন

সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়।

সীমান্তে নারীর সংগ্রাম!

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আসিফ নজরুল ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন,

‘ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, আমরা তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের দাবি

 

জানাতে পারি। তবে আপাতত, আমরা আশা করি, ভারত তাঁকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কোনো সুযোগ

দেবে না।’ এ সময় তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনা মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।

এর আগে, ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা

ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘যদি বাংলাদেশ (সরকার) তাঁকে (শেখ হাসিনা) ফেরত না নেওয়া পর্যন্ত ভারত তাঁকে রাখতে

চায়, তবে শর্ত হলো—তাঁকে চুপ থাকতে হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যে ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন।

এই অঞ্চলের দেশত্যাগী বা পলাতক নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস আছে ভারতের। ১৯৫৯ সালে দালাই লামা

চীনের তিব্বত থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। যদিও তিনি রাজনৈতিক বিষয়গুলো একটি বেসামরিক নির্বাসিত

প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছেন তবে সেটিও ভারতেও অবস্থিত। তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতা সম্প্রতি মার্কিন

কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। যা চীনাদের ক্ষুব্ধ করেছে। বেইজিং এবং যা বিশ্লেষকদের মতে

মোদি সরকারের সম্মতি ছাড়া এটি ঘটত না।

সেনাবাহিনীকে দেওয়া হলো বিচারিক ক্ষমতা

এরপর, আফগান নেতা মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর পরিবার ১৯৯২ সালে ভারতে পালিয়ে যায়। যেখানে নাজিবুল্লাহর

স্ত্রী ফাতানা নাজিব এবং সন্তানেরা এখনো রয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা নিজে ও তাঁর বোন শেখ রেহানার ১৯৭৫ সালের

পর বেশ কয়েক বছর ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই সময়টাতে তাদের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং পরিবারের

অধিকাংশ সদস্যতে হত্যা করা হয়েছিল।

ভারতে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকারের সময় পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব পালন করা এবং পরে দেশটির জাতীয়

নিরাপত্তা উপদেষ্টা হওয়ার শিবশঙ্কর মেনন বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভারতে আশ্রয় অনেক নজির আছে।

আমরা সব সময় তাদের থাকার অনুমতি দিয়েছি এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা আমাদের ইচ্ছাকে সম্মান করে রাজনৈতিক

কার্যকলাপ থেকে দূরে থেকেছেন।’
মুরগি কবির কট!
ভারতের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে শেখ হাসিনা ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। সেখানকার রাজনীতিবিদেরা মনে করেন, শেখ

হাসিনা ইসলামি উগ্রবাদ দূরীকরণে সফল। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের

অবদানের কারণেও তাঁকে আলাদাভাবে দেখা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা আছে।

শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ অনেকেই মনে করেন, শেখ হাসিনার পতন ও ড. ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণ মূলত এক ধরনের

‘কালার রেভল্যুশন’ বা ‘শাসন পরিবর্তন’ যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র

১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও ভারতেও দেশটির বিপুল অর্থ লগ্নি আছে এবং সেই লগ্নি

কেবল মোদি-ঘনিষ্ঠ বলয়েই হয়েছে এমনটা নয়।

সেনাবাহিনীকে দেওয়া হলো বিচারিক ক্ষমতা

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার দিল্লিতে অবস্থানের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। একই সঙ্গে দিল্লির নিজস্ব

পরিকল্পনা অনুসারে, আগামী দিনগুলোতে শেখ হাসিনা অবস্থানের ব্যাপারে এক ধরনের ঢাক গুড়গুড় থাকবে।

আরও সোজা ভাষায় বললে, তাঁর অবস্থানটি ‘অদৃশ্য করার চাদর’ দিয়ে ঢেকে রাখা হবে।

এ বিষয়ে শিবশঙ্কর মেনন বলেন, ‘এগুলো অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ হওয়ার কুফল। আর যখন বিষয়টি আমাদের

প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘটে তখন তা আরও জটিল হয়ে ওঠে। বিষয়টি এমন নয় যে, আমরা পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে থাকা

কোনো দেশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ডিল করছি।’

অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

Ajker Potrika

ড. ইউনূসকে পদ্মায় চুবানোর হুমকি: হাসিনা খাচ্ছে ধারা!

এবার ডক্টর ইউনূসের হাতে বিশ কোটি মার্কিন ডলার!

তিনি আজ ঢাকায় আসছেন! ভালো কিছু হবে হয়তো!

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by: BD IT HOST