অবশেষে হুজুর ধরা!
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় সিআইডি মুখপাত্র ও বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রেড বেইসড মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় তিন মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।
নজরুল ইসলাম মজুমদারের মালিকানাধীন নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফিরোজা গার্মেন্টস লিঃ ২০২০ সালের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ থেকে ১৩০টি সেলস কন্ট্রাক্ট (বিক্রয় চুক্তি) গ্রহণ করে।
এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময়ের পরও রপ্তানিমূল্য প্রায় তিন মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে না এনে যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের তথ্য প্রমাণ সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারের মাধ্যমে লন্ডনের ফিলিমোর গার্ডেন এবং ব্রান্সউইক গার্ডেনে তার কন্যা আনিকা ইসলামের নামে বাড়ি ক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ডেনাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ডে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নজরুল ইসলাম মজুমদার নাসা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড সুবিধার আওতায় বিদেশ থেকে শুল্ক মুক্ত কাঁচামাল নিয়ে আসে। সেই পণ্য দেশীয় খোলা বাজারে বিক্রয় করে শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।
এ ছাড়া নিজের ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নাসা গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট চারটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। আমদানি এবং রপ্তানির আড়ালে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা দুবাই, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগে নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে সিআইডি।