ইরান এখন রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার!
ইরানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের’ মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। এমন সময় এ ঘোষণা এসেছে, যখন রাশিয়াকে তেহরান
স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে— এমন খবর দৃঢ়তার সঙ্গে নাকচ করতে পারছে না মস্কো।
গতকাল সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের নতুন
এই উচ্চতার কথা জানান।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীগুলোকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের
বিষয়ে তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এরপর ইরানের শাহেদ ড্রোন সরবরাহের
মাধ্যমে মস্কো ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
গত শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করা হচ্ছে।
গতকাল এ দাবিকে সমর্থন জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়নও। একজন মুখপাত্র বলেন, জোটের মিত্ররা
এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হলে তেহরানের ওপর
নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
যদিও ইরান এ ধরনের খবর অস্বীকার করেছে, তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ বিষয়টি জোরালোভাবে
অস্বীকার করতে দৃশ্যত ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খবরটি দেখেছি। এ ধরনের তথ্য সবসময় সত্য হয় না।’
এ সময় ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, ‘ইরান আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা আমাদের বাণিজ্য ও
অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছি। সবচেয়ে স্পর্শকাতর ক্ষেত্রগুলোসহ সম্ভাব্য সব বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা
ও সংলাপ আমরা জোরদার করছি।’
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক করে বলেছে, রাশিয়াকে ইরানের কোনো ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ
ইউক্রেন যুদ্ধে মারাত্মক উত্তেজনা তৈরির বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
পরে গতকাল দৃঢ়তার সঙ্গে বিষয়টি অস্বীকার করে ইরান। এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ‘এই (ইউক্রেন) যুদ্ধের এক পক্ষের কাছে অস্ত্র রপ্তানির দাবি আমরা
দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি।’
কানানি আরও বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা এই যুদ্ধের এক পক্ষের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র
সরবরাহকারী।’ নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তেহরান ইউক্রেন যুদ্ধের অংশ নয়।