ওরা আমাদের হাইকমিশনে হামলা করলো!
ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘গভীরভাবে দুঃখজনক’ বলে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কূটনৈতিক ও কনস্যুলার ভবনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
তাহাদের আস্তানায় র্যাবের অভিযান!
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভবনে আজকের (২ ডিসেম্বর) অনুপ্রবেশের ঘটনা গভীরভাবে দুঃখজনক। কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত নয়।’
বাংলাদেশের হাইকমিশন ও তাদের ডেপুটি/সহকারী হাইকমিশনগুলোর জন্য ভারত সরকার নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার দুপুরের দিকে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলা হয়।
ওই ঘটনার সময়কার কিছু ভিডিওতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার পর তাতে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে।
কলকাতা থেকে বিবিসি সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানান, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সভা ছিল আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে।
সভা শেষে সংগঠনের ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল হাইকমিশন কার্যালয়ের ভেতরে যায় স্মারকলিপি জমা দিতে।
বিতর্কিত উপদেষ্টা নিয়োগের মাস্টারমাইন্ড কে? Pinaki Bhattacharya ||
এসময় বাইরে থাকা কিছু হিন্দু যুবক হঠাৎ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিড়ে ফেলে- ঘটনাস্থল থেকে এমন কিছু ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে।
পরে হাইকমিশন কার্যালয়ের কিছু সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।
সূত্র : বিবিসি