বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে তাদের সময়ের মধ্যেই আসতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে আসলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, তারা এলে তফসিলের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ না করে নিজ দলের বাইরে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারবেন না। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজশাহী অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি রাশেদা বলেন, নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ তেমন কিছুই না। নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ সবাইকে নিয়ে ঔক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সবাইকে নিয়ে কাজ করার। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন বরাবরই হয়ে এসেছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
ভোটারের উপস্থিতি কেমন আশা করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা বলা খুব কঠিন। আগেই আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না। তবে আমরা ভোটারদের সচেতন করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোটার আনার দায়িত্ব কমিশনের না এটা প্রার্থীর দায়িত্ব। উনারাই ভোটার আনার ব্যাপারে দায়িত্বশীল থাকবেন। তবে ভোটাররা যাতে সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করবো।
বিদেশি পর্যবেক্ষকের বিষয়ে তিনি বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা আছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সাড়া পাচ্ছি। আমরা তাদের ওয়েলকাম করি। আমরা চাই যে যত বেশি দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবে তত বেশি ভোটের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আসবে। আচারণবিধি কেউ ভঙ্গ করলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটাররা যাতে স্বাধীনভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করবে। এ নির্বাচন কীভাবে করা যায় তারই একটা প্রস্তুতি সভা করলাম। রাজশাহী বিভাগের যারা এ নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সবাই এসেছেন। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, আমরা বিধি মেনে নির্বাচন করতে চাই। যেখানে ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট প্রদান করতে পারেন।
প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ কবীর। এ সময় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান বিপিএম (বার), রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারসহ নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।