রাশেদ খান মেনন কট!
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে রাজধানীর
গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানের বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ তাঁকে নিয়ে যায়।
সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের অতিরিক্ত
উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান মেননের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার করে মেননকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা এখনো ঠিক হয়নি।
তবে যেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হোক আদালতে তুলে তাঁর রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
মেননের বাসার নিরাপত্তা কর্মী আব্দুল মোমিন বিকেলে বলেন, গুলশানের বাসা থেকে সাদা
পোশাকে পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে এই প্রথম আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অংশীদার কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
আজও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে
মেননের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ
২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বরিশালের জন্মগ্রহণ করা রাশেদ খান মেনন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন- কোলকাতায় ধর্ষণ!
তিনি ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের ভূমিকা রাখেন। তিনি মাওলানা আবদুল হামিদ খানের ভাবশিষ্য ছিলেন।
তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। ১৯৯১ সালে তিনি বরিশাল থেকে প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছিলেন।
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে যোগ দেয় ওয়ার্কার্স পার্টি।
২০০৮ সালে ঢাকা-৮ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য হন।
২০১৪ সালের নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী হন মেনন।
ওই নির্বাচনে বিজয়ের পরে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০১৮ সালে সংসদ সদস্য হলেও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এবার উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ড!