সেনাবাহিনীতে বড় রদবদল!
সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। মেজর জেনারেল পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে
পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল করা হয়েছে। এই দুজনের মধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের
(ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মো. ফয়জুর রহমানকে সেনাসদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল বা
কিউএমজি করা হয়েছে। তাঁর স্থলে ডিজিএফআইয়ের নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন মেজর জেনারেল
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এবার জেন জিদের জন্য ফেসবুক!
এ ছাড়া চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. মাইনুর রহমানকে লেফটেন্যান্ট
জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে সেনাসদরের সামরিক সচিব মীর মুশফিকুর রহমানকে চট্টগ্রামের এরিয়া
কমান্ডার ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি করা হয়েছে। আবার কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি
হয়েছেন মেজর জেনারেল তারিক হাসনাত। ব্রিগেডিয়ার সাজেদ মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে
সামরিক সচিব হয়েছেন।
সোমবার থেকে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ!
বরিশালের এরিয়া কমান্ডার ও ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লাকে এনটিএমসির
মহাপরিচালক করা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার মোয়াজ্জেমকে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে ৭ পদাতিক
ডিভিশনের জিওসি করা হয়েছে। আর এনটিএমসির বর্তমান মহাপরিচালক এ এস এম রিদওয়ানুর রহমানকে
সিলেটের এরিয়া কমান্ডার ও ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি করা হয়েছে।
সিলেটের ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড
অ্যান্ড স্টাফ কলেজে বদলি করা হয়েছে। ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের বর্তমান কমান্ড্যান্ট
মেজর জেনারেল আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলমকে কক্সবাজারের ১০ পদাতিক ডিভিশনে, ১০ পদাতিক
ডিভিশনের বর্তমান জিওসি শেখ মোহাম্মদ সারওয়ার হোসেনকে চা বোর্ডে, সমরাস্ত্র কারখানার কমান্ড্যান্ট
মাকসুদুল হককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাব্বিরকে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি
দিয়ে সমরাস্ত্র কারখানায়, রংপুরের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে,
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসানকে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে ৬৬ পদাতিক ডিভিশনে
জিওসি করা হয়েছে।
এর আগে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কোয়ার্টার
মাস্টার জেনারেলের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে আর্টডকে পাঠানো হয়েছিল।
আর আর্টডকের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে করা হয়েছিল কিউএমজি।
এক মাসের মাথায় গত ১২ সেপ্টেম্বর তাবরেজকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আর মজিবুরকে
বরখাস্ত করা হয়।