১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন! ডক্টর ইউনুস চুপ কেন?
আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে
এই সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
২৩ সেপ্টেম্বর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টম্বর) ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল
ওয়াকার-উজ-জামান এ অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে
মুক্ত করার একটি রূপরেখা দেন তিনি।
জামায়াতের নেতৃত্বে হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় জোট!
ড. ইউনূস প্রসঙ্গে সেনা প্রধান
ড. ইউনূস প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, তিনি যেন তাঁর মিশন সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য আমি তাঁর
পাশে থাকব।
হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন, সংস্কারের ধারাবাহিকতায় এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটা উচিত।
সেনাপ্রধান বলেন, আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব যে এই সময়সীমার মধ্যেই আমাদের
একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।
হিজাব পরবেন সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা!
রয়টার্সের প্রতিবেদনে
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্ট মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশের প্রধান দুটি
রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছিল।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তিনি প্রতি সপ্তাহে
সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অস্থির সময়ের পর দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের
প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে
আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
একপর্যায়ে তা সরকারবিরোধী অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী অধ্যায়।
আন্দোলনের কেন্দ্রে থাকা ঢাকার সড়কগুলোতে শান্তি ফিরেছে। কিন্তু হাসিনা সরকারের নাটকীয় পতনের পর প্রশাসনের
কিছু অংশ এখনো সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি।
প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনী এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী দেশব্যাপী
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে এগিয়ে এসেছে।
Source: সংগ্রাম অনলাইন
সরকারি চাকুরীদের ৩০ শে নভেম্বরের আল্টিমেটাম!
সন্ত্রাসীদের ডেরায় যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা!
সরকারি চাকুরীদের ৩০ শে নভেম্বরের আল্টিমেটাম!