কেন নিষিদ্ধ হলো ছাত্রলীগ!
আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
একইসঙ্গে এই ছাত্র সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।
গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদিক সম্মেলন থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ
করতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত
১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা,
নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজী, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ
জননিরাপত্তা বিঘœকারী কর্মকা-ে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কে প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে
প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের
নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত
নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। এ ছাড়াও
সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকা- এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সঙ্গে
জড়িত রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয় সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের
ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং এই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ’ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করল। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।