তারা যৌন মিলন করলেই মারা যায়!
পুরুষ মৌমাছিদের জীবন এক রহস্যময়, যা মৌমাছির জীবনচক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো, যৌন মিলনের সময় পুরুষ মৌমাছির এন্ডোফেরাস বা যৌনাঙ্গ ভেঙ্গে যায় এবং
তখনই মারা যায় পুরুষ মৌমাছি।
দি ড্রামা টিক সেক্সুয়াল সুইসাইড
এজন্যই এই মিলনকে বলা হয় “দি ড্রামা টিক সেক্সুয়াল সুইসাইড”। একটি মৌচাক একটি মাত্র রাণী
আ স্ত্রী মৌমাছি থাকে। রাণীকে কেন্দ্র করেই মৌচাক গড়ে ওঠে। প্রকৃতি এমন এক অদ্ভুত জগৎ, যেখানে
মৌমাছিরা তাদের নিজেদের জীবনের জন্য নয়, বরং পুরো উপনিবেশের টিকে থাকার জন্য কাজ করে।
বিশেষত, পুরুষ মৌমাছিরা একটি মাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে জন্মায়—রাণী মৌমাছির সাথে মিলিত হওয়া। পুরুষ
মৌমাছিরা জানে যে এই মিলনের পর তাদের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
তবুও, তারা এই মহৎ দায়িত্ব পালনে পিছপা হয় না। কেন এমনটি ঘটে? কেন তারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়,
এমনকি তাদের সামনে আর কোনো পথ না থাকলেও? মৌমাছিদের এই মিলন কোন সাধারণ ঘটনা নয়।
কেন নিষিদ্ধ হলো ছাত্রলীগ!
মৌমাছির উপনিবেশে একটি মাত্র রাণী থাকে, যাকে মৌমাছি উপনিবেশ সাধারণত একটি রাণী, অসংখ্য কর্মী
এবং কিছু পুরুষ মৌমাছি নিয়ে গঠিত হয়। রানি মৌমাছির প্রধান কাজ হলো ডিম পাড়া।
কর্মী মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে, চাক তৈরি করে, এবং উপনিবেশের রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে।
কিন্তু পুরুষ মৌমাছির জীবন একদম আলাদা।
ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য জেনে নিন!
রাণী মৌমাছির সাথে মিলন করা
তাদের কোনো শ্রম দেওয়ার প্রয়োজন হয় না, এমনকি তাদের খাবারও কর্মী মৌমাছিরা মুখে তুলে দেয়। তবে
পুরুষ মৌমাছিদের একমাত্র কাজ হলো রাণী মৌমাছির সাথে মিলন করা। পুরুষ মৌমাছিদের জীবনচক্রের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ‘পুরুষ ধর্মসভা’।
এটি এমন একটি স্থান, যেখানে প্রচুর পুরুষ মৌমাছি একত্রিত হয়। অপেক্ষা করে রানি মৌমাছির আগমনের জন্য।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি
মালয়েশিয়ায় ভাগ্য খুলছে বাংলাদেশিদের!
চাকরি ছাড়তে চান? এখনই চাকরী ছাড়ুন!