বুধবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় এবং রংপুর মহাসড়ক দিয়ে খামার মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সেটি শেষ হয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘ভারতীয় দালালেরা, হুঁশিয়ার, সাবধান’, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে,
ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়তে হবে ভারত ভক্তি’, ‘রাজপথে পানি,
হিংসা মানি না মানব না’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
বেরোবি শিক্ষার্থী সুলাইমান বলেন, ভারতের গোলাম হাসিনা সরকারের সঙ্গে লড়াই
করে আমরা শিক্ষার্থীরা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এনেছি। এটি সহ্য করতে না পেরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে
মোদি সরকার বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে।
আমরা হুঁশিয়ারি দিতে চাই, ছাত্র জনতা ছেড়ে দেবে না। আমরা বর্তমান সরকারকে
বলতে চাই, আন্তর্জাতিক নদীর পানি বণ্টনের ন্যায্য হিস্যা পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করুন। ছাত্রসমাজ আপনাদের সাথে আছে। ভারতে বসে খুনি হাসিনা মোদিকে
সাথে নিয়ে যে গভীর ষড়যন্ত্র করছে, তা প্রতিহত করতে হবে।
শিক্ষার্থী সুমন মিয়া বলেন, ভারতীয় শক্তি খুনি হাসিনাকে রক্ষা করেছে।
আগে ভারতের কথায় বাংলাদেশ চলতো। আমরা ইলিশ পাঠানো বন্ধ করেছি, তাই এখন তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই বাঁধ খুলে দিয়েছে। আমাদের দেশে মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে মারতে চাচ্ছে।
শিক্ষার্থী হাবিব বলেন, আজ বুয়েটের আবরারের কথা সত্যি হয়েছে। আজ আমাদের পানিতে ডুবিয়ে ফসল, মাছসহ সব কিছু ধ্বংস করছে। ভারতকে বলে দিতে চাই, আমরা আগের বাংলাদেশ নেই, এখন প্রতিটি অন্যায়ের জবাব দেওয়া হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব বাঁধগুলো বন্ধ করে দিন।